ঢাকা সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

ভারতের প্রশংসায় ক্লার্ক

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০১:১৮ এএম

ইংল্যান্ড সফরে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে ভারত, তাতে রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাইকেল ক্লার্ক। ভারতের বোলিং পারফরম্যান্স মন কেড়েছে তার। ক্লার্কের চোখে যিনি বিশে^র সেরা বোলার, সেই জাসপ্রিত বুমরাহকে ছাড়াই দুটি টেস্ট জেতায় ভারতের অন্য বোলারদের স্তুতিতে ভাসালেন তিনি।

সম্প্রতি অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে বুমরাহ খেলেছেন তিনটি টেস্ট। হেডিংলিতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেন তিনি। এক ম্যাচ বিশ্রাম নিয়ে বুমরাহ পরের ম্যাচ খেলেন লর্ডসে। সেখানে প্রথম ইনিংসে তার শিকার আবার পাঁচ উইকেট, পরের ইনিংসে দুটি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে তিনি ছিলেন একেবারেই বিবর্ণ।

ক্যারিয়ারের প্রথমবার একশর বেশি রান দিয়ে উইকেট পান কেবল দুটি। বুমরাহর ভালো বোলিং করা দুটি ম্যাচেই হেরে যায় ভারত। তার খেলা আরেকটি টেস্টে ব্যাটসম্যানদের চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে ম্যাচ ড্র করে সিরিজের উত্তেজনা জিইয়ে রাখে দল। সিরিজে ভারতের জয়ী হওয়া দুই ম্যাচের কোনোটিতেই ছিলেন না বুমরাহ। যদিও তিনি চোটপ্রবণ পেসার এবং সিরিজের আগেই ঠিক হয়েছিল, তিনি কেবল তিনটি টেস্টেই খেলবেন, তারপরও তার বেছে বেছে ম্যাচ খেলা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে অনেক। বুমরাহকে ছাড়াই ভারতের বোলিং আক্রমণ আরও ভালো কি না, এমন বিস্ময়কর প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।

ক্লার্ক অবশ্য এই প্রশ্নটি উড়িয়ে দিলেন। তার মতে, বিশ্বের সেরা বোলার বুমরাহকে সব দলই চাইবে সব সময়। তবে বিয়ন্ড-২৩ ক্রিকেট পডকাস্টে তিনি তুমুল প্রশংসা করলেন ভারতের অন্য বোলারদের।

ক্লার্ক বলেন, ‘শেষ ম্যাচটি নাটকীয়ভাবে জেতা ও পেছন থেকে ফিরে সিরিজে সমতা ফেরানো- ওয়াও, অসাধারণ! খুবই দুর্দান্ত! পাশাপাশি আরেকটি ব্যাপারও বলতে হবে, যে দুটি টেস্ট ম্যাচ ভারত জিতেছে, বিশ্বের সেরা বোলার বুমরাহ খেলেনি। বুমরাহকে ছাড়াই দুটি ম্যাচ জিতেছে তারা। ভারতের অন্য বোলারদের বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য নিজেদের মেলে ধরায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি এবং আমার মনে হয়, অন্য কেউ ভিন্ন কিছু বলবে না, যেকোনো দলই বুমরাহকে পেলে আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু তাকে ছাড়াই দুটি টেস্ট জিততে পারায় ওই বোলিং আক্রমণের অনেক কৃতিত্ব প্রাপ্য।’ প্রথম টেস্ট হেরে পিছিয়ে পড়ার পর এজবাস্টনে জিতে ভারতের সমতা ফেরানোর পেছনে বড় অবদান ছিল আকাশ দিপের। ইংল্যান্ডে প্রথম খেলতে নেমেই ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। শেষ টেস্টের রোমাঞ্চকর জয়ে দুই ইনিংসেই চারটি করে উইকেট শিকার করেন প্রাসিধ কৃষ্ণা।