এবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দলের সামনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন। এই টুর্নামেন্ট খেলতে আজ ভুটানের বিমান ধরবে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে গতকাল ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা জানায় নারী দল। এ সময় উঠে আসে পাঙাশ মাছ প্রসঙ্গটি। সম্প্রতি বাফুফে সদস্য এবং নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার বলেছিলেন, ক্যাম্পে থাকা নারী ফুটবলারদের কখনোই পাঙাশ মাছ খাওয়ানো হয় না।
গতকাল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অধিনায়ক অর্পিতা বিশ^াসও বললেন, বাফুফে তাদের পাঙাশ মাছ খাওয়ায় না। স্পনসরের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক থেকে অনেক টাকা এলেও মেয়েরা কেন ক্যাম্পে পাঙাশ মাছ খায়? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে কিরণ বলেন, ‘অর্পিতা এখানে বসা আছে, জিজ্ঞেস করেন ওরা পাঙাশ মাছ খায় কি না।’ এ সময় অর্পিতা বললেন, ‘না, কখনো পাঙাশ মাছ দেওয়া হয় না।’ সম্প্রতি বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা যে সাফল্য এনে দিচ্ছে, তারা কতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে? এ কারণেই খাওয়া-ধাওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসে।
সিনিয়র জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-২০ দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠার ইতিহাস রচনা করেছে। তা ছাড়া অনূর্ধ্ব-২০ দল সাফের শিরোপাও জিতেছে। তাদের পথ ধরে হাঁটতে চায় অনূর্ধ্ব-১৭ দলও। তবে এ বছর এখনো কোনো ম্যাচ খেলেনি তারা। ২০২৪ সালে সাফে চার ম্যাচের চারটিতে জেতে তারা। সেই প্রতিযোগিতায় ভারতের সঙ্গে খেলা ফাইনালই মেয়েদের সর্বশেষ ম্যাচ। জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার গত ১১ আগস্ট লাওসে অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলা শেষে ছুটিতে গেছেন।
আগস্টের বাকি সময় তিনি ছুটিতে থাকবেন। কোচ হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সঙ্গে ভুটানে যাবেন মাহবুবুর রহমান। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালÑ এই চার দেশ নিয়ে ২০ থেকে ৩১ আগস্ট থিম্পুতে হবে এই টুর্নামেন্ট। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে এক দল অন্য দলের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর সর্বোচ্চ পয়েন্টধারীর হাতে উঠবে ট্রফি। ২০ আগস্ট ভুটান ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ। এক দিন বিরতি দিয়ে ২২ আগস্ট দলটির প্রতিপক্ষ ভারত। ২৪ ও ২৭ আগস্ট পরপর দুই ম্যাচে নেপালকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। ২৯ আগস্ট ভুটান এবং ৩১ আগস্ট আবার ভারতের মুখোমুখি হবে মেয়েরা। সবগুলো ম্যাচ থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে। এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সাতবার অংশ নিয়ে দুবার ট্রফি জিতেছে তারা। বাংলাদেশের সমান দুবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
ইয়ারজান বেগম, মেঘলা রানী, মমিতা খাতুন, শিউলি রায়, তানিয়া আক্তার, অর্পিতা বিশ্বাস (অধিনায়ক), ফাতেমা আক্তার, উম্মে কুলসুম, আরিফা আক্তার, মোসাম্মত আলমিনা, রেশমি আক্তার, থুইনুয়া মারমা, সুরভী আকন্দ, ক্রানুচিং মারমা, রিয়া, আলফি আক্তার, প্রতিমা রানী, জবা রানী, সুরভী রানী, মামনি চাকমা, ঈশিতা ত্রিপুরা, পূর্ণিমা মারমা ও আমেনা খাতুন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন