ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ

জিততে না পারলেও তুষ্ট কাবরেরা

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৬:৫৯ এএম
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ

ফিফা উইন্ডোতে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলেছে দুই দল। এই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিততে না পারলেও দলের পারফরম্যান্সে তুষ্ট বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

একাদশে ছিলেন না বাংলাদেশের নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা। নেপালে খেলছেন না তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমরাও। ফাহামিদুল ইসলাম, শেখ মোরসালিনরা খেলছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে ভিয়েতনাম সফরে। ফলে অনেকটাই খর্বশক্তির দল নিয়ে নেপালের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। এমন দল নিয়ে নেপালকে রুখে দেওয়াটাই কৃতিত্বের মনে করছেন কোচ কাবরেরা। কারণ, দুই দলের লড়াইটা হয়েছে সমানে সমান। লক্ষ্যে শটও ছিল সমান। শেষ পর্যন্ত সমানে সমানে টক্করে জিততে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘তারা (নেপাল) আমাদের চেয়ে ভালো শুরু করলেও পরবর্তীতে আমরা খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।

এটা খুবই সমতাপূর্ণ এবং বেশ টাইট ম্যাচ হয়েছে।’ আগামী মাসে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে কাবরেরা বলেন, ‘আমাদের এই দলও ভালো এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। হামজা, শমিত এবং অন্যদের নিয়ে আমাদের দলটি পূর্ণাঙ্গ হলে আমরা যে কারো বিপক্ষে শক্তিশালী এবং লড়তে সক্ষম থাকব। হামজা, শমিতসহ অন্যরা এলে আমরা হংকংয়ের বিপক্ষেও ভালো অবস্থানে থাকব।’ স্ট্রাইকার সুমন রেজার প্রশংসা করে কাবরেরা বলেন, ‘সুমন সেটাই করেছে, যেটা সে ভালোভাবে করতে পারে। অবিরাম লড়াই আর ভরপুর প্রাণশক্তি নিয়ে খেলা। ম্যাচে সেটাই দরকার ছিল আমাদের।

প্রথমার্ধেই সে একটা দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের যে বড় সুযোগটা এসেছিল লং থ্রো থেকে, সেখানে দারুণ হেডটা সে-ই দিয়েছে। সে সব সময়ই সেন্টার-ব্যাকদের কাজ কঠিন করে তুলেছে। ক্যাম্পে সে খুব ভালো করেছে। সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে এবং ভালো খেলেছে।’ রাকিব পুরো সময় নিজের মতো খেলতে পারেননি। কাবরেরার দৃষ্টিতে, ‘রাকিবও একইভাবে ভালো খেলেছে। তবে তার ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হয়তো বেশি সাবধানী ছিল, তাই তার চারপাশে বেশি খেলোয়াড় রেখেছে। তবু রাকিব সব সময়ই বিপজ্জনক।’