বিসিবি নির্বাচন সামনে রেখে তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠেকেনি। তার কাউন্সিলরশিপের বৈধতা নিয়ে যিনি প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেছিলেন, গতকাল তাকেই শুনানিতে পায়নি নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে বিসিবি নির্বাচনে তামিমের অংশ নেওয়া নিয়ে তাই আপাতত কোনো সংশয় নেই। বিসিবি নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর বুধবার একটি আপত্তিপত্র জমা পড়ে ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কাউন্সিলর তামিমের বিরুদ্ধে।
কানাডা-প্রবাসী সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহর স্বাক্ষরিত অভিযোগে দাবি করা হয়, আইসিসি স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নেওয়ায় বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তামিম কাউন্সিলর হতে পারেন না। তিনি ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের কেউ নন এবং তাকে ক্লাবের কাউন্সিলর করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানানো হয় অভিযোগপত্রে। তবে এদিনই হালিম শাহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তিনি করেননি এবং তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
তামিম বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বিসিবি নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ ঠেকাতে নানামুখী চেষ্টার অংশ হিসেবেই এই অভিযোগ করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, সেই অভিযোগপত্র তারা আমলে নেননি। সাবেক ক্রিকেটারদের কাউন্সিলর হওয়া প্রসঙ্গে তামিম গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিসিবি যে ১৫ জনের তালিকা দিয়েছে, মোহাম্মদ আশরাফুল তো সম্প্রতি ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলে এসেছে। আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাই আমাদের প্রেসিডেন্ট। উনিও অফিসিয়ালি কোনো জায়গায় রিটায়ারমেন্ট ঘোষণা করেননি। আপনি যদি এভাবে আমাকে ধরতে চান, আপনারাও ধরা পড়বেন।’