এই প্রথমবারের মতো ফিফা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিম (টিডিএস) ট্যালেন্ট আইডেন্টিফিকেশন ওয়ার্কশপ (আবাসিক) আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। চার দিনের এই কর্মশালা যশোরের শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমিতে চলছে। কর্মশালাটি শেষ হবে ২৪ অক্টোবর। ওয়ার্কশপটি ফিফা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিমের (টিডিএস) আওতায় সম্পূর্ণভাবে ফিফার অর্থায়নে হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সারা দেশে একটি জাতীয় ফুটবল স্কাউটিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এতে মোট ৩২ জন কোচ (এএফসি ‘এ’ ও ‘বি’ লাইসেন্সধারী) অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন কোচ বিএফএফ পুরুষ ট্যালেন্ট স্কাউট এবং ১২ জন কোচ কাজ করবেন বিএফএফ নারী ট্যালেন্ট স্কাউট হিসেবে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এই কোর্সের জন্য কোনো ফি নিচ্ছে না। অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিএফএফ পূর্ণাঙ্গ আবাসন, খাবার ও জার্সি প্রদান করছে। কর্মশালা শেষে দেওয়া হবে সার্টিফিকেট। বছরজুড়ে এই প্রশিক্ষিত স্কাউটরা বিএফএফের হয়ে সারা দেশে বয়সভিত্তিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করবেন। বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে এই উদ্যোগ প্রথম। আনুষ্ঠানিক স্কাউটিং নেটওয়ার্ক গঠনের মাধ্যমে দেশের প্রতিভা অন্বেষণ ও ফুটবলার তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই কর্মশালা যৌথভাবে পরিচালনা করছেন ফিফার রিজিওনাল টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট চোকি নিমা ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এ কে এম সাইফুল বারী টিটু। কর্মশালা শুরুর আগে চোকি নিমা বলেছিলেন, ‘ফিফা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিমের অংশ ট্যালেন্ট আইডেন্টিফিকেশন। আগামী চার দিন কোচদের খেলোয়াড়দের বাছাই করার নানা প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব, যাতে পরবর্তীতে কোচরা খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন