বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাইনুল হক ভূঁইয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০৩:১১ এএম

ডিএসসিসিতে পার্টটাইম প্ৰশাসক!

মাইনুল হক ভূঁইয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০৩:১১ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ।

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক পদের কাজ চলছে পার্টটাইমার দিয়ে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়াকে ডিএসসিসির প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ১৭ আগস্ট জারি করা স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধিত অধ্যাদেশের ধারা ২৫ ক-এর উপধারা (৩)-এ বলা হয়, তিনি (প্রশাসক) মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন। এই নিয়োগের দুই মাসের মাথায় গত ১৮ মে ডিএসসিসি প্রশাসককে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওয়াসায় বেশির ভাগ সময় দিতে হওয়ায় ডিএসসিসিতে তিনি কার্যত পার্টটাইমার হয়ে পড়েন। জানা গেছে, হঠাৎ হঠাৎ তিনি ডিএসসিসিতে আসেন, ফাইল সই করে ফিরে যান। অথচ এটি সংস্থাটির মেয়রের সমপর্যায়ের একটি সর্বোচ্চ পদ । এখানে সময় নিয়ে কম্প্রোমাইজের কোনো সুযোগ নেই ।

প্রশাসক ছাড়াও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম সামাল দিচ্ছেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার গুরুত্বপূর্ণ পদ । সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, রফিকুল ইসলাম নামের ১৪তম গ্রেডের একজন কর্মচারীকে নবম গ্রেডের সহকারী সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। তাও আবার তাকে সংস্থাপন-১ ও ২- এ দুটি শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইভাবে দশম গ্রেডের সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা ওসমান গণীকে নবম গ্রেড দিয়ে সহকারী সচিব হিসেবে সংস্থাপন শাখা-৩-এর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটিতে ২০ কর্মকর্তা পালন করছেন অতিরিক্ত দায়িত্ব। ফলে অতিরিক্ত

দায়িত্বের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে ডিএসসিসি। আর এতে সার্বিকভাবে গতি হারাচ্ছে সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম।

ঢাকা দক্ষিণে ১ কোটিরও বেশি নাগরিকের বসবাস। সেবা পেতে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে ওয়ার্ডগুলোও বলতে গেলে ভাঙা। আগস্ট অভ্যুত্থানের পর কমিশনাররা পালিয়ে গেলে ওয়ার্ডগুলো অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে। কমিশনারদের পাশাপাশি সচিবেরাও গা বাঁচিয়ে চলতে শুরু করেন। এতে ওয়ার্ডের কাজকর্মে অচলাবস্থা দেখা দেয়। উন্নয়ন কার্যক্রম দূরের কথা, জন্ম ও চারিত্রিক সনদের মতো নিত্যদিনের সেবায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। এখনকার যে চিত্র, তাতে ওয়ার্ড অফিসের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না। স্থানীয়রা বলাবলি করেন, 'নামে আছে, কামে নাই'।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শুধু ওয়ার্ড প্রশাসন নয়, অনেক আঞ্চলিক অফিসেও ফাঁকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদগুলো। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সামাল দেওয়া হচ্ছে আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো। যেমন- মোহাম্মদ শাহজাহান, কর কর্মকর্তা, অঞ্চল-২; মো. হুমায়ুন কবির, সহকারী সমাজকল্যাণ, সাংস্কৃতিক ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা, অঞ্চল-৬; বিকাশ চন্দ্র দাস, বর্জ্য

Link copied!