দেশে ১৫ বছরের নিচে ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নানা রোগে ভুগছে- এই উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরে তরুণ চিকিৎসকরা দ্রুত ও কঠোর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, জনসমাগমস্থল ও পরিবহণে ধূমপানের নির্ধারিত স্থান তুলে না দিলে শিশু ও তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা : তরুণ চিকিৎসকদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে চিকিৎসকরা এ আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, তামাক একটি নীরব ঘাতক, যা প্রতিদিন শত শত প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ধূমপায়ীর পাশাপাশি আশপাশের নিরীহ মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এই বিপদ মোকাবিলায় আইনকে আরও শক্ত করা জরুরি।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, ‘দেশে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অগণিত শিশু নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পাবলিক স্থানে ধূমপানের নির্ধারিত স্থান পুরোপুরি তুলে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।’
মূল প্রবন্ধে প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারজানা রহমান মুনমুন জানান, ‘গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩–১৫ বছর বয়সি ছেলেদের ৯.২ শতাংশ ও মেয়েদের ২.৮ শতাংশ ধূমপান করে। তামাক কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে তরুণদের টার্গেট করে আগ্রাসী বিপণন চালাচ্ছে।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে দেশে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। এই মৃত্যুর মিছিল থামাতে হলে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কার ও বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন