শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১০:০৫ এএম

এনসিপি নেতাকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১০:০৫ এএম

এনসিপি নেতাকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

ভোলার লালমোহনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি কমিটির সদস্য খোকন হাওলাদারকে অপহরণ করে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে লালমোহন মডেল মসজিদ এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে কলেজ রোডের এক বাগানে মারধর করা হয়। আহত খোকন হাওলাদারের বাড়ি কালমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর ছকিনা গ্রামে।

আহত খোকন হাওলাদার জানান, রোববার বিকেলে লালমোহন বাজার থেকে নিত্যপণ্য কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। লালমোহন মডেল মসজিদের কাছে পৌঁছালে সানাউল, নাফিজ, শাহিনসহ কয়েকজন তার অটোরিকশা থামিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে তাকে কলেজ রোডের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়।

হামলাকারীরা অস্ত্র হাতে দিয়ে তার ছবি তুলে এবং ওই অস্ত্র তার বলে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও পরিবারের জন্য কেনা নিত্যপণ্যের ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হামলাকারী সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী খোকন। নাগরিক কমিটির রাজনীতি করার কারণেই তাকে মারধর করার অভিযোগ করেন তিনি। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে মাগরিবের আগমুহূর্তে হামলাকারীদের কবল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহত খোকনকে হাসপাতালে দেখতে এসে হামলাকারীদের বিচার চেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভোলা সদর উপজেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রশিদ আহাম্মদ ও ইয়াছিন আরাফাত। খোকন হাওলাদার বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।

তবে লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। খোকনের ভাই মাসুদ ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সম্পাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার আগের অপকর্মের কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। বিএনপির নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

লালমোহন থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘খোকন হাওলাদার বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি এনসিপির সদস্য কি না, তা জানা নেই। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এ হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরবি/জেডআর

Link copied!