ঢাকা রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

ডিবি হারুনের সাথে আমার ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ীক কোনো সম্পর্ক নেই: মোকাররম সর্দার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০৪:০৭ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মোকাররম সর্দার। গত ২১শে মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

সাম্প্রতিক  আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হলে সারা দেশে ৪৯৫ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেই প্রজ্ঞাপনে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার চেয়ারম্যান মোকাররম সর্দারের অপসারিত হয়।

চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পরই একটি কুচক্রি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ডিবি হারুনের শতকোটি টাকার ক্যাশিয়ার ও শ্রমিক সর্দার থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বলে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন মোকারম সর্দার। তবে এতে মানুষকে সাময়িক বিভ্রান্ত করা গেলেও ষড়যন্ত্রকারীরা তার জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে পারবেনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

৩১ আগস্ট গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাতকারে মোকাররম সর্দার এসব অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আমার ১৯৮৮সাল থেকে ঢাকায় কেয়ারিং ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমি বর্তমানে বসুন্ধরা, এসিআই, মিল্লাত, এসবি গ্রুপ, মোশারফ গ্রুপ এর মতো বড় বড় কোম্পানীগুলোর সাথে ব্যবসা করছি। আমার অধীনে বসুন্ধরা গ্রুপে ১৪০০, চট্টগ্রামে ২০০ ও নারায়ণগঞ্জে ২৫০০ লেবার কাজ করছে। একজন মানুষ তার পরিশ্রমের মাধ্যমে বড় হতেই পারে । কাজ করে বড় হওয়াটা অপরাধ না।

ডিবি হারুনের কোটি টাকার ক্যাশিয়ার প্রশ্নের জবাবে  সর্দার বলেন, ‘ডিবি হারুন ২০১৯ সালে নারায়নগঞ্জে এসপি হিসেবে যোগদানের পর বেশ আলোচনায় আসে। ডিবি হারুন আমাদের কিশোরগঞ্জের হওয়ায় একদিন উনার অফিসে দেখা করি এবং আমার নারায়নগঞ্জের অফিসে দাওয়াত করি। হারুনের সাথে দেখার করার মূল উদ্দেশ্যটা ছিল উনি যদি আমার ব্যবসার এরিয়াটা একবার ঘুরে যায় তবে সেখানকার স্থানীয় চাঁদাবাজরা ভয়ে হয়তো আর চাঁদা চাইতে আসবে না। পরবর্তীতে ওই এলাকায় ডিউটিকালীন একদিন তিনি আমার অফিসে আসেন এবং স্থানীয়দের সর্তক করে যায়। এছাড়া ডিবি হারুনের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ীক সম্পর্ক নাই।’