ঢাকা রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

কক্সবাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৫০

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,  কক্সবাজার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ০১:২০ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া ও কুতুবদিয়া পাড়ায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় যৌথবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ও ট্রলার যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

সোমবার ২রা সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েই দুই গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে এসে ইটপাটকেল ছুড়ে। এসময় ঘটে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা। এসব ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নৌ পথে  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২রা সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথম দফায় শহরের সমিতিপাড়া এবং কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সারাদিন চলে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় আগুন দেওয়া হয় রাস্তায়, পুড়িয়ে ফেলা হয় মোটরসাইকেল, লুট করা হয় দোকানপাট, ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা।

পরে সন্ধ্যার দিকে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, নৌ বাহিনী, পুলিশ যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি শান্ত করে। এসময় রামু সেনানিবাসের ৯ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর হোসেন এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানান সকলকে। 

তিনি বলেন, যারা অন্যায়ের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন ভাবেই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা যাবে না।

এর আগে, সমিতিপাড়া এবং কুতুবদিয়াপাড়া গ্রামের লোকজন একে অপরকে অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। 

সমিতিপাড়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, কুতুবদিয়াপাড়ার হাজার হাজার লোকজন সমিতিপাড়ার লোকজনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। দোকানপাট লুট করেছে। অনেককে মারধর করেছে।

অন্যদিকে, পাল্টা অভিযোগ কুতুবদিয়াপাড়ার লোকজনের। 

তারা জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অবৈধ বসবাসরত রোহিঙ্গাসহ তারা সমিতিপাড়ার লোকজনের উপর অন্যায় ভাবে হামলা করেছে।  অনেক ছাত্র ছাত্রী কে মারধর করেছে, অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি। পরে ট্রলারে করে নদীপথে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।