সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা ১২ জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুকে উদ্ধার সহ মানবপাচারকারী চক্রে ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে এতথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন। সোমবার ভোর রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী ফয়সালের সুপারি বাগানের ভিতরে এ অভিযান চালানো হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সোমবার ভোররাতে সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা জোর পূর্বক কিছু নারী ও শিশুদেরকে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে আটক রেখেছে, খবরের ভিত্তিতে
সোমবার রাত সাড়ে ৩ টার সময় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী ফয়সালের সুপারি বাগানের ভিতরে অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় মানব পাচারী চক্রের সদস্য নুরুল আমিন, নুরুল আফসার, মিনহাজ উদ্দিন, মো. আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয় ও পালিয়ে যায় আরও ৭ মানব পাচারকারী।
মানব পাচারের শিকার হওয়া ৩ জন নারী, ৯ জন শিশুসহ ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়। এই ১২জনই বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক এবং তারা উখিয়া-টেকনাফ থানাধীন বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে বসবাসরত।
ওসি গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, উদ্ধার করা রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন, অধিক বেতনে চাকুরী ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা পূর্বক ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়া যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবা আদায় এর অভিপ্রায়ে ৩/৪ দিন যাবৎ ধাপে ধাপে মানব পাচারকারীরা পরস্পর যোগসাজশে এসব রোহিঙ্গাদের উক্ত স্থানে এনে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জোরপূর্বক আটক রেখেছিল।
ধৃতরা ও পলাতক ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ মানব-পাচার চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজশে বাঙ্গালি ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরাণার্থী নাগরিকদের নিয়ে মানব পাচার করে আসছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। ধৃত ব্যক্তিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :