শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম (রাঙ্গুনিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক ও নদী পথে চলছে কাঠ পাচারের মহোৎসব

চট্টগ্রাম (রাঙ্গুনিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক ও নদী পথে চলছে কাঠ পাচারের মহোৎসব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কর্ণফুলী নদী ও সড়ক পথে ওপেন সিক্রেটে চলছে কাঠ পাচার। দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক হয়ে রাঙ্গুনিয়ার আন্ত সড়ক দিয়ে শতাধিক কাঠ বোঝাই গাড়ি ঢুকছে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইটভাটায়। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সদস্যদের পাহারায় কাঠ পাচারের মহোৎসব চললেও নীরব বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন। বন বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে রাঙ্গামাটির জেলার কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া, পোমরা চেক ষ্টেশন, কোদলা বিট, ইছামতি রেঞ্জ, ইসলামপুর বিট, বগাবিলি বিট ও খুরুশিয়া রেঞ্জকে ম্যানেজ করে এসব কাঠ পাচার করছে পাচারকারী সিন্ডিকেট।

জানা যায়, রাঙামাটির সর্ববৃহৎ বাগান আলিখিয়ং, ফারুয়া, কাপ্তাই পাল্পউডের বাগান বিভাগ রাজস্থলি, কাপ্তাই এবং বান্দরবানসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জ এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতীর কাঠ রাঙ্গুনিয়ায় আসছে। এক শ্রেণীর সংঘবদ্ধ কাঠ পাচারকারী রাতের আঁধারে এসব কাঠ চট্টগ্রাম শহর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের সর্ববৃহৎ বাগান বিভাগ আলিখিয়ং, সাংক্রাছড়ি, ফারুয়া, আড়াছড়ি, কাপ্তাই পাল্প উড বাগান বিভাগের কাপ্তাই, রাজস্থলী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জ এবং বান্দরবান বন বিভাগের বাগান থেকে মুল্যবান সেগুন, গর্জন, চাপালিশ, আকাশমণি, গামারীসহ নানা প্রজাতীর কাঠ রাঙ্গুনিয়ায় আসছে। রাঙ্গুনিয়া চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান, চৌধুরী গোট্টা, খোন্দকার পাড়া, সুফি গোট্টা, হাইব্ব্যার গোট্টা, বুইজ্জার দোকান, কাটাখালী, মরিয়ম নগর, গোডাউন, পোমরা শান্তির হাট, বুড়ির দোকান, পাহাড়তলি, ইসলামপুর, ধামাইর হাট, মোগলের হাট থেকে মরিয়ম নগর ডিসি সড়ক, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে এবং চন্দ্রঘোনা রাইখালী, ডং নালা, কালুগোট্টা, আধুর পাড়া, কোদালা, মরিয়ম নগর, বালু গোট্টা, পাঁচবাড়ি, রশিদিয়া পাড়া, ইছামতি, শিলক, সরফভাটা, পাইট্টালীকুল, গোচরা বাজার, বাচাশাহর মাজার, বেতাগী থেকে কর্ণফুলী নদী পথে এসব কাঠ পাচার করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, কর্ণফুলী নদী ও কাপ্তাই- চট্টগ্রাম সড়ক পথে অবৈধ কাঠ পাচার ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কতিপয় চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীর সাথে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকায় বিনা বাধায় চলছে কাঠ পাচার। বিশেষ করে পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন বনায়ন থেকে আনা মূল্যবান কাঠ কর্ণফুলী নদী পথে পরিবহন করে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্পটে মজুদ করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক পথে পোমরা বন চেক স্টেশনকে ম্যানেজ করে কাঠ পাচার চলছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর বন বিভাগের হাজার হাজার একর বনায়নকৃত অঞ্চল বৃক্ষ শূণ্যে পরিণত হচ্ছে । চোরাইপথে মূল্যবান বনজ সম্পদ পাচার হওয়ায় সরকার বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান বলেন, সংঘবদ্ধ কাঠ চোরেরা কাঠ পাচারে এখন নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। পাচারকারীরা নদীকে পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই উপজেলার বিভিন্ন নদী পথে নৌকা দিয়ে কাঠ পাচার শুরু করছে। নদী পথে নৌকায় কাঠ পাচার ঠেকাতে বন কর্মীরা সক্রিয় আছেন।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, নৌকায় কাঠ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট নৌকার মালিক, শ্রমিক এমনকি প্রমাণ সাপেক্ষে দোষী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!