ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাংগা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ২ নারী ও ১ জন শিশুসহ এক ভারতীয় মানব পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে উপজেলার বাঘাডাংগা সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।
আটক মানব পাচারকারী শংকর অধিকারী (৩৯) ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার পূর্ব হুদা গ্রামের নুকুল অধিকারীর ছেলে। তার কাছে নগদ বাংলাদেশি ৫০ হাজার ১১০ টাকা, ৮৫০ ভারতীয় রুপি এবং ৭ ওমানি রিয়েল পাওয়া যায়।
বিজিবি জানায়, শংকর অধিকারী ৩ মাস আগে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার বড়খোলা গ্রামের তার পূর্ববংশীয় চাচার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে জয়বালা (১৩) নামের একজনকে বিয়ে করে ভারতে চলে যান।
পরবর্তীকালে গত ১৭ এপ্রিল ভারতের হরিদাসপুর এলআইসিপি হয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এরপর বেড়ানোর কথা বলে সে তার স্ত্রী জয়াবালা এবং পাশের বাড়ির যুথিকা হালদার (২৯) ও তার ছেলে বাধন বৈদাকে (১০) পাচারের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাংগা সীমান্তে নিয়ে আসেন।
শংকরের ভাষ্যমতে, ২ জন নারী ও ১ জন শিশুকে ভারতে নেয়ার জন্য আনোয়ার নামে বাংলাদেশি এক দালালের সঙ্গে ৪৭ হাজার টাকার চুক্তি হয়। সীমান্ত অতিক্রম করার পর আনোয়ারকে এ টাকা দেয়ার কথা ছিল।
বিজিবির ধারণা, পাচারকারী ব্যক্তি ওই দুই নারী ও শিশুটিকে ভারতে পাচার করে বিক্রির পর টাকা উসুল করার পরিকল্পনা করেছিলেন শংকর অধিকারী।
যুথিকা হালদার ও তার স্ত্রী জয়াবালা জানান, তাদেরকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে আনা হয়। কিন্তু এখান থেকে ভারতে নেয়ার বিষয়টি তারা অবগত নন।
এছাড়া তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদেরকে বেড়ানোর কথা বলে ওই ভারতীয় মানব পাচারকারী বাড়ি থেকে কৌশলে নিয়ে গেছেন।
আটক মানব পাচারকারীকে মহেশপুর থানায় এবং আটক ২ নারী ও শিশুটিকে যশোরের জাস্টিস এন্ড কেয়ারে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় বিজিবি।
আপনার মতামত লিখুন :