বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ১১:১১ এএম

পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন লক্ষীকান্ত রায়

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ১১:১১ এএম

পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন লক্ষীকান্ত রায়

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কৃষকের সূর্যমুখী ক্ষেত সেজেছে অপরূপ সাজে। বসন্ত বাতাসে ক্ষেতে দোল খাচ্ছে সূর্যমুখীর ফুল। সূর্যমুখী ক্ষেতের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগের আগ্রহ বেড়েছে মানুষের। অপরূপ সৌন্দর্যই শুধু নয় এর বীজের ব্যাপক চাহিদা ও দাম থাকায় কৃষকরাও লাভের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, তৈলজাত ফসলের চাষাবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৩০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমূখীর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের উৎসাহিত করতে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী করে সূর্যমুখী চাষ করা হচ্ছে। কৃষকদের প্রণোদনা সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষাবাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি গ্রামের কৃষক লক্ষীকান্ত রায় এবারে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী ব্যবস্থাপনায় ৩৩ শতাংশ জমিতে হাইসন জাতের সূর্যমূখীর চাষ করেছেন।

তিনি জানান, ৩৩ শতাংশ জমির একপাশে বাঁশঝাড়, একপাশে বিভিন্ন গাছ ও আরেক পাশে বসতবাড়ি। এর ফলে তার এই জমি বেশিরভাগ সময় অনাবাদি পড়ে থাকতো। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম তাকে ওই পতিত জমিতে সূর্যমূখী চাষের পরামর্শ দেন। এতে তিনি রাজি হলে পরে চাষাবাদের জন্য কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমূখীর বীজ ও সার দেয়া হয়।

লক্ষীকান্ত রায় জানান, বর্তমানে তার ক্ষেত ফুলে ফুলে ভরে গেছে। ক্ষেতের চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসেন। ছবি তোলেন, ভিডিও ধারণ করেন। বর্তমানে ক্ষেতের যে অবস্থা তাতে ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি। এবারে আবাদ করে লাভবান হলে আগামী বছর আরও বেশি জমিতে সূর্যমূখীর আবাদ করবেন।

এই কৃষকের সূর্যমূখীর ক্ষেত দেখে চাষাবাদে উৎসাহী হচ্ছেন আশপাশের কৃষকরাও। ওই এলাকার আলী হোসেন নামের আরেক কৃষক বলেন, লক্ষীকান্ত প্রথমবার এই এলাকায় সূর্যমূখীর আবাদ করছেন। তার জমিতে সূর্যমুখীর ভালো আবাদ হয়েছে। ক্ষেতের অবস্থা দেখে ভালো লাগছে। আগামীতে আমিও সূর্যমূখীর চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, উপজেলায় এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হচ্ছে। ক্ষেতগুলো বর্তমানে ফুলে ফুলে ভরে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবারে সূর্যমুখীর ভালো ফলন পাবেন এবং আগামীতে এ অঞ্চলে সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধির আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আরবি/এসআর

Link copied!