চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আলোচিত সিএনজি চালক রুবেল হত্যা মামলার আসামি ইউপি সদস্য সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ইছাখালি সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার মামলা নং-১৪, তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪খ্রি., ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড অনুযায়ী দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হন লালনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আমির হোসেন ওরফে সুমন (৩৯)। তিনি ওই এলাকার খিল মোগল গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মো. ইলিয়াছ ও মা গোলতাজ বেগম।
স্থানীয়রা জানান, সুমন মেম্বার আওয়ামী লীগ আমলে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়ে বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং নানা সুযোগ-সুবিধা নেন। আওয়ামী লীগের প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি ইউপি সদস্য পদেও নির্বাচিত হন।
তবে আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাতারাতি অবস্থান বদলে বিএনপি ঘরানার কয়েকজন নেতাকে ম্যানেজ করে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সুমন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি চাঁদাবাজি, পাহাড় নিধন, মাটি দখল, টিআর-কাবিখা লুটপাট, টাকার বিনিময়ে বয়স্ক ভাতা প্রদান, জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ও ভোটার ফর্মে স্বাক্ষর করতে টালবাহানা, আত্মীয়দের পক্ষে কার্ড প্রদান, মাটির ব্যবসা, পাহাড়ের বৃক্ষ নিধন এবং বিচার-সালিশের নামে চাঁদা আদায়সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে উপজেলার লালনগর ইউনিয়নের ইসলামিয়া পাড়ায় সিএনজি চালক রুবেল হত্যার ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত হন।
নিহত রুবেলের পরিবারের সদস্যরা আসামির গ্রেপ্তারে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের ছেলে হত্যার বিচার নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন উদ্বিগ্ন ছিলাম। আজকের গ্রেপ্তারের খবরে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছি। আমরা চাই দ্রুত বিচার সম্পন্ন হোক।’
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি শিফাতুল মাজদার বলেন, ‘উপজেলার লালনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমির হোসেন সুমন হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বহু অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সিএনজি চালক রুবেল হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন