শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০২:০৩ পিএম

কেরাণীগঞ্জের ভয়াল গণহত্যা দিবস আজ

কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ০২:০৩ পিএম

কেরাণীগঞ্জের ভয়াল গণহত্যা দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

আজ ২ এপ্রিল, কেরাণীগঞ্জের ভয়াল গণহত্যা দিবস। শহীদদের স্মরণে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের মনুবেপারীর ঢালে স্মৃতিসৌধে প্রতিবছর এই দিনের প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। এ বছর আজ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধে তেমন কাউকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়নি। এই দিবসটি সম্পর্কে অবগত না খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

বছর ঘুরে এ দিনটি ফিরে এলেই এলাকাবাসীর মধ্যে নামে শোকের ছায়া। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ভোরের দিকে কেরাণীগঞ্জের নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ হামলায় প্রায় ৫ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু শহীদ হন। তাদের মধ্যে কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৬০০ জন শহীদ হন, বাকি শহীদরা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।

১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ কালরাত গভীর রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী অপারেশন ‍‍`সার্চলাইট‍‍` নামে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। আত্মরক্ষার জন্য রাজধানীর বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেয় অন্তত ২০ হাজার লোক। রাজধানী থেকে কেরাণীগঞ্জে আশ্রয় নেওয়া লোকদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ২ এপ্রিল ভোর রাতে নির্বিচারে মেশিনগান ও কামান থেকে গুলি ছুড়তে থাকে। কেরাণীগঞ্জের দোলেশ্বর, মীরেরবাগ, কালিগঞ্জ, জিনজিরা, রবিশুর, নেকরোজবাগ, শুভাট্যা ও খোলামোড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০ থেকে ২৫টি গানশিপ থেকে মর্টার শেল ছুড়তে থাকে পাকিস্তানি সেনারা।

এলাকাবাসী জানায়, ফজরের নামাজ শেষ হতে না হতেই পাকিস্তানি হানাদাররা পাড়া-মহল্লায় ঢুকে নিরস্ত্র মানুষের ওপরে গুলি চালায়। ভোররাত থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা আক্রমণ চালিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৫ হাজারেরও অধিক মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

জিনজিরার মনুবেপারীর ঢালে একটি বাড়ির পাশে গর্তে প্রায় ৫০ জন লোক এবং অপর একটি গর্তে ৪৫ জন লোক আশ্রয় নিয়েছিল। পাক সেনারা এসব লোকজনদের ধরে এনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এসব লাশের মধ্যেও যাদের পরিচয় পাওয়া যায় তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর যাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি তাদের এই মনু  ব্যাপারির ঢালে একটি গর্তে গণকবর দেয়া হয়।

এই শহীদদের স্মরণ করার জন্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের জিনজিরার মনুবেপারীর ঢালে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন।

এ বিষয়ে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফাউজিয়া বলেন, এই দিনটি সম্বন্ধে আমাকে কেউ অবগত করেনি, তাই আগে থেকে কোনো কর্মসূচি হাতে নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা চেষ্টা করব বিকেলে মধ্যে একটা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে।

এ বিষয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, প্রতিবছরেই ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়, এ বছরেও দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আরবি/এসআর

Link copied!