ঢাকাসহ সারা দেশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিভিন্ন কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬টি কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। অভিযান চলাকালে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা এবং ঢালাই কাজে প্রয়োজনের তুলনায় কম রড ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভবন, রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, কাজের গুণগত মান বজায় না রাখা এবং কাজ না করে বা নামমাত্র কাজ দেখিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, অভিযানকালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় একটি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের কাজ শেষ হলেও অন্যান্য কাজ চলমান। তাতে বাঁশের চটা ব্যবহার করা হয়েছে। স্কুল ভবনের উইন্ডো সিলিং ও সেলফ ঢালাইয়ের কাজে রড ব্যবহার, ভবনের ৭ ফুট ১১ ইঞ্চি সেলফের ঢালাই কাজে লং ডিসটেন্সে মাত্র একটি রড এবং শর্ট ডিসটেন্সে মাত্র তিনটি রড ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানের সার্বিক বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আবদুল্লাহ-আল-জাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, এনফোর্সমেন্ট টিম শিগগির প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী যেসব ক্ষেত্রে মামলা করা দরকার, তা করা হবে। যেসব ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সেটা জানানো হবে সংশ্লিষ্ট অফিসকে। একই সঙ্গে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণসাপেক্ষে কোনো কোনো ঘটনা অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।