পটুয়াখালীর দুমকিতে বাদাম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কম খরচে অধিক ফলন এবং সরকারি উৎসাহ পাওয়ায় উপজেলার কৃষকরা বাদাষ চাষে ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পাঙ্গাশিয়া, আঙ্গারিয়া, লেবুখালী, শ্রীরামপুর ও মুরাদিয়াজুড়ে বাদামের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ১০৫ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে কৃষকরা চাষ করেছেন ১১৫ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সর্বত্র বাদামের চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষকরা আগাম জাতের বাদাম সংগ্রহ শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বাদামের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কৃষক আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘আগের দিনে আমাদের এলাকায় বাদাম চাষ খুব কম হতো। কয়েক বছরের ব্যবধানে এখন প্রতি বছরই চীনা বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক লাভ হয় বলে বাদাম চাষ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। তা ছাড়াও বাজারে বাদামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে বাজারে বাদাম ১০০/১২০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।’
মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ৬০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে পরিপক্ব হয়েছে। আশা করি, আগামী সপ্তাহে বাদাম সংগ্রহ করতে পারব।’
দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘দুমকি উপজেলা নদী বিধৌত এলাকা হিসেবে চীনা বাদাম চাষের উপযোগী। আমরা কৃষকদের বাদাম চাষে উৎসাহী করছি। কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনা চিনাবাদাম-৮ ও বারি চিনাবাদাম-৯-এর প্রদর্শনী প্লট ও মাঠ দিবস পালন করা হচ্ছে।’
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ফলন বেশ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :