সিরাজগঞ্জেরর উল্লাপাড়া উপজেলায় যৌতুকের জন্য হৃদয় হোসেন বকুল তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে (১৯) হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে দূর্গানগর ইউনিয়নের বড় ভৈরব গ্রাম থেকে রাবেয়ার শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে, স্বামী ও তার পরিবারের অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
রাবেয়া খাতুন উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে। ৩ মাস আগে খলিল হোসেন ওরফে লোহা খলিলের ছেলে হৃদয় হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় বকুলকে সহযোগিতা করেন তার মা বুলবুলি খাতুন ও বোন সুমনা। রাবেয়া খাতুনকে হত্যার পর ঘটনাটি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য তার মরদেহ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় রাবেয়ার বাবা রুহুল আমিন উল্লাপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, ৩ মাস আগে রাবেয়ার সঙ্গে হৃদয় হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষ ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তখন আমরা এত টাকা দিতে পারব না বলে জানাই।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের আসরে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে বাকি টাকার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে বকুল ও তার পরিবার। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো।
‘বুধবার রাতে হৃদয় তার মা, বোন ও স্বজনদের সহযোগিতায় রাবেয়াকে হত্যা করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য রাবেয়ার মরদেহ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া থানার ওসি মো. রাকিবুল হাসান বলেন, পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত রাবেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাবেয়ার বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে স্বামী হৃদয় হোসেন বকুল, শাশুড়ি বুলবুলি খাতুন, ননদ সুমনাসহ ৮ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এরই মধ্যে শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরই স্বামী পালিয়ে যান। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কীভাবে রাবেয়াকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
আপনার মতামত লিখুন :