রাঙামাটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য সরাতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে শহরের জেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এ আলটিমেটাম দেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারা দেশে ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’ ও সব ফ্যাসিবাদ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হলেও রাঙামাটি সিও অফিস সংলগ্ন ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যটি’ এখনো ভেঙে ফেলা হয়নি।
‘আন্দোলন পেরিয়ে প্রায় ৭-৮ মাস হয়ে গেলও যথাস্থানে ভাস্কর্য রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরও কী করে এখনো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থেকে যায়?’
ছাত্র-জনতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, এই ভাস্কর্যের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগের লেডিস এমপি চিনুকেও আসামি করে গ্রেপ্তার করতে হাবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই মূর্তি ভেঙে ফেলতে হবে। এ জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে আল্টিমেটাম দেওয়া হলো।
তারা আরও বলেন, জেলা পরিষদ (সাবেক) নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া ও বর্তমানে জেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী প্রকৌশলী এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ দু’জনকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। ফ্যাসিস্ট ও পতিত সরকারের সক্রিয়ে এই দুই দালালের বিচার করতে হবে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ও মুখ্য নির্বাহী খন্দকার রেজাউল করিম বলেন, ‘যেহেতু মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাঙামাটির বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। সে জন্য আজকেই মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি লিখব। তাদের অনুমতি পেলে ভেঙে ফেলব।’
সামাবেশে বক্তব্য দেন মো ইরফানুল হক, সর্বজিত চাকমা, ইমাম হোসেন ইমু, হারুন ইবনে আব্দল খালেদ, তানিম ইবনে ইমাম, সায়েদা খাতুন, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আলা উদ্দীন, মো. রাকিব উদ্দীন, জুনায়েদুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান রোমন ও শহিদুল ইসলাম শাফিস প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, রাঙামাটি ফ্যাসিস্ট সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যরা প্রচুর অনিয়ম দুর্নীতি করেছে। তাই তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের সম্পদের হিসাব জনগণকে দিতে হবে। তারা জনগণের টাকা মেরে খেয়েছে। ওই টাকার প্রকৃত মালিক রাঙামাটির জনগণ।
আত্মগোপনে থাকা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা দীপংকর তালুকদার, মুছা মাতব্বর, বৃষ কেতু চাকমা, নিখিল কুমার চাকমা, অভয় চাকমা, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এলিপেন চাকমা, ত্রিদিপ দাশের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন বক্তারা।