মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘জেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সব হাটে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে। সেখানে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন, তারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন।’
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আক্তার বলেন, ‘গবাদিপশুর পাশাপাশি মানুষেরও কিছু চিকিৎসাসেবা থাকা দরকার। গরু-ছাগলের পেছনের যে মানুষ, তারা যেন নিরাপদে আসতে পারে, নিরাপদে ফেরত যেতে পারে, সেটারও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোরবানির ঈদের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাইরের পণ্য ভেতরে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে- সেটা বন্ধ করা দরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিজিবি ও নৌ-পুলিশকে এ বিষয়ে কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণকে দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কৃষিতে যে হারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয় একই হারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে নেওয়া হয় না। এতে ছোট ছোট খামারিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে।’
যেসব নারী গবাদিপশু পালন করে তাদের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী, বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্টেশন ইনচার্জ ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :