নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের বাহেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের শাবলের আঘাতে নিহত হয়েছেন বাবা কবির মিয়া (৫০)। এর আগে দাদি, ফুফু ও চাচাতো বোনকে কুপিয়ে জখম করেছিল। ওই মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়ে বাবাকে হত্যা করে সে।
সোমবার (২৬ মে) রাত আড়াইটার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত কবির মিয়া তার মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলে মনির হোসেনের (৩০) সঙ্গে বসবাস করতেন। গভীর রাতে মনির হঠাৎ শাবল দিয়ে তার বাবার ওপর আক্রমণ করে। প্রথম আঘাতে আহত হয়ে কবির দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মনির তাকে পেছন থেকে ধাওয়া করে এবং একাধিকবার আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় আতঙ্কিত এলাকাবাসী সরাসরি এগিয়ে আসতে না পারলেও পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মনিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশী জয়নাল মিয়া বলেন, মনির কবির মিয়ার বড় ছেলে। এক বছর আগে সে সৌদি আরব থেকে ফিরে আসার পর মানসিক রোগে ভুগতে থাকে। ছয় মাস আগে সে দাদি, ফুফু ও চাচাতো বোনকে কুপিয়ে জখম করেছিল। সেই ঘটনায় তাকে তিন মাস কারাগারে থাকতে হয়। পরে বাবাই জামিনে তাকে মুক্ত করে আনেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের বাবাকে হত্যা করল মনির।
রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, ছেলের হাতে বাবার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তাকে আটক করেছি, মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, মনির দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ হলেও তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা না দেওয়ায় এ বিপর্যয় ঘটেছে।
আপনার মতামত লিখুন :