এখন থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ধর্মীয় বাণী শুনতে পাবেন মুমূর্ষু রোগীরা।
রামেক কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রামেক হাসপাতালের ৪০ শয্যার আইসিইউ। রোগীর স্বজনদের দীর্ঘদিনের অনুরোধ ছিল যে, চিকিৎসাধীন মানুষ যে ধর্মের তাকে সেই ধর্মীয় বাণী শোনানোর।
মুসলিম হলে- পবিত্র কোরআন মাজিদ, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য গীতা এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য বাইবেল শোনানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১১ সালে রামেক হাসপাতালে আইসিইউ চালু করা হয়। চালুর পর থেকে অনেক রোগীর স্বজনরা তাকে অনুরোধ করেন- তাদের প্রিয়জনের মৃত্যুর সময় যেন নিজ ধর্মের বাণী শোনানো হয়। নানা কারণে এতদিন এটা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে একজন ব্যক্তির দেওয়া অনুদানে হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন মৃতপ্রায় রোগীকে নিজ ধর্মীয় বাণী হেডফোনের মাধ্যমে শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার (২৮ মে) প্রথম দিন। পবিত্র কোরআন মজিদ রেকর্ড করা তেলাওয়াত দুজন মৃত্যুপ্রায় রোগীকে শোনানো দিয়ে শুরু হলো এই কার্যক্রম। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক রোগীর স্বজনরা এটাতে মানসিক শান্তি পাবেন। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য গীতা এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য বাইবেল শোনানো হবে। তবে শুধু আইসিইউতে ভর্তি রোগীর স্বজনদের চাহিদা অনুযায়ী কোরআন মজিদের তেলাওয়াত বা দোয়াগুলোর রেকর্ড শোনানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রোগীর স্বজন জানান, তার বাবা গত তিন দিন থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। আমরা সবসময় আল্লাহকে ডাকছি। সন্ধ্যায় হাসপাতালে এসে শুনলাম রোগীর স্বজনদের চাহিদা অনুযায়ী ধর্মীয় বাণী শোনানো হবে। এটা সত্যি ভালো উদ্যোগ।
এ বিষয়ে হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, আইসিইউতে থাকা বেশির ভাগ রোগী সংকটপন্ন। তাদের মধ্যে যাদের ভাগ্য খুবই ভালো তারা জীবন নিয়ে ফিরে আসে। এ সময়টায় রোগীর জন্য সবকিছুর ঊর্ধ্বে সৃষ্টিকর্তা। তাই সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা ছাড়া রোগী ও তাদের স্বজনদের আর কিছু করার থাকে না। ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্যার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।
আপনার মতামত লিখুন :