সোমবার, ০৯ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম

হারানো কোরবানির মহিষ ভারত থেকে ফেরত, পরিবারে ঈদের আনন্দ

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম

বিজিবি সদস্যরা ফেনিতে হারানো মহিষটিকে ধরে এনে দিয়েছে মালিককে। ছবি-সংগৃহীত

বিজিবি সদস্যরা ফেনিতে হারানো মহিষটিকে ধরে এনে দিয়েছে মালিককে। ছবি-সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সকালে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বাগানবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিনের কোরবানির জন্য কেনা একটি মহিষ অসাবধানতাবশত ছুটে যায়। 

স্থানীয়রা ধরার চেষ্টা করলে মহিষটি আতঙ্কিত হয়ে ছুটতে ছুটতে সীমান্ত অতিক্রম করে পুরান রামগড় এলাকার সীমান্ত পিলার ২২১৪/১২-এস এর পাশ দিয়ে ফেনী নদী অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।

ঘটনাটি বিজিবির বাগানবাজার বিওপির দৃষ্টিগোচর হলে বিওপি কমান্ডার সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আহসান উল ইসলামকে অবহিত করে। অধিনায়ক দ্রুত ভারতের ১১৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে মহিষটি ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

বিএসএফ মহিষটি উদ্ধারে তাৎক্ষণিকভাবে তল্লাশি শুরু করলেও ঘন জঙ্গল ও সন্ধ্যা/রাত নামার কারণে মহিষটি গতকাল শনিবার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 

রোববার (৮ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় টায় বিএসএফ সদস্যরা পুনরায় মহিষটি ধরার চেষ্টা করলে এটি আবার ফেনী নদী পার হয়ে সীমান্ত পিলার ২২১৩/এমপি এর নিকট দিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে।

পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় মহিষটিকে আটক করা সম্ভব হয়। আনুমানিক দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে কুরবানির মহিষটি তার প্রকৃত মালিক মো. নাজিম উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

মহিষ ফেরত পেয়ে আবেগাপ্লুত নাজিম বলেন, ‘বিজিবি’র সহানুভূতিশীলতা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা শুধু আমাদের কুরবানির পশুটি ফিরে পাইনি, বরং আমাদের ঈদের আনন্দও ফিরে পেয়েছি। এটি শুধু একটি পশু ফেরত আনার ঘটনা নয়, বরং এটি বিজিবি’র পক্ষ থেকে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সীমান্তবাসীর পাশে থাকার এক অনন্য উদাহরণ।’

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, বিজিবি সবসময়ই মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে‌ সর্বদা সচেষ্ট থাকে। বিজিবির আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের এই অনন্য দৃষ্টান্ত আবারও তা প্রমাণ করল। 

রামগড় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, ‘কোরবানি মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি যখন এমন একটি দুর্ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তখন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত মানবিকভাবে পাশে দাঁড়ানো। আমরা বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় করে মহিষটি ফেরত আনার উদ্যোগ নেই এবং সেটি সফল হয়েছে।’

উল্লেখ্য, মহিষটিকে আজ কোরবানি করা হয়েছে।

Link copied!