ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়া বাসায় মা, মেয়ে ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকায় একটি বাসা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না খাতুন, তার মেয়ে রাইসা আক্তার (৪) ও ছেলে মো. নিরব (২)।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির রূপালী বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্ত্রী ময়না আক্তার ভালুকার রাজই ইউনিয়নের কুল্লাব এলাকার বাসিন্দা। ২০১৭ সালে রফিকুলের সাথে ময়নার বিয়ে হয়। তারপর থেকে রফিকুল স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকায় বসবাস করতেন। গত দেড় মাস আগে পৌর শহরের টিঅ্যান্ডটি রোডের হাইয়ুমের বাসায় ভাড়া উঠেন তারা। একই বাসায় বসবাস করতেন রফিকুলের ভাই নজরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন রাতে রফিকুল রাসেল মিলে রাতের ডিউটিতে চলে যান। সকালে রফিকুল বাসার গেট বন্ধ পেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে ডাকাডাকি করেন। তবে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভেতরে প্রবেশ করে তার রুমে বাইরে থেকে তালা দেওয়া দেখতে পান। তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বিছানায় গলাকাটা মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে রফিকুল থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রফিকুলের ভাই নজরুল ইসলামের রুম তল্লাশি করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত নজরুল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তার ভাবি-ভাতিজা-ভাতিজিকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :