বিশ্ববিদ্যালয়ে গণবিবাহের আয়োজনই ইঙ্গিত দেয় যে, বর্তমান সময়ে বিয়ে কতটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক অবক্ষয় রোধে এবং বিয়ে সহজ করার জন্য মোহরানা কমিয়ে নির্ধারণ করা উচিত—এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের মোহরানা কমিয়ে বিয়ে সহজ করা উচিত।’
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা ভবনের স্পেকট্রাম কনফারেন্স রুমে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, ‘এখন প্রায় সবারই একটি করে সন্তান হচ্ছে। দুটি মানুষের একটি সন্তান, এটা অনেকটাই কম। এই হার বাড়ানো উচিত। স্কুল পর্যায়ের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি আরও জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গণবিবাহের আয়োজন থেকেই বোঝা যায়, বর্তমানে বিয়ে করাটা কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে—মেয়েদের মোহরানা কমিয়ে বিয়েকে সহজ করা উচিত।’
তিনি কিশোর-কিশোরীদের জন্য ক্রিকেট, ফুটবল ও পরিবেশ বিষয়ক ক্লাব গঠনের আহ্বান জানান। বলেন, ‘ওরা ঘুরে বেড়াবে, নতুন কিছু শিখবে এবং জনস্বার্থে কাজ করবে।’ একইসঙ্গে সন্তানদের ন্যায্যতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে সচেতন করে তোলার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের পরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. বায়েজীদ-উল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আলোচনা সভা শেষে বিভাগ, জেলা ও থানা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে চারজন শ্রেষ্ঠ কর্মী ও ছয়টি প্রতিষ্ঠান, জেলা পর্যায়ে চার কর্মী ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং থানা পর্যায়ে দুই কর্মীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :