ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে পুশইন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ, আরও ২১ জনকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী এবং ১১ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার হাতিপাগাড় বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার ১১১৬ মেইন পিলার দিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে পুশইন করেন কিলাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখেন।
পুশইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান। এর আগে গত ১১ জুলাই একই উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশইন করে বিএসএফ।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিরা ছয়টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যায় এবং সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসাবাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তারা কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে ছিল বলে পরিচয় দেয়। সেই হিসাবে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে আরও তথ্য যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :