বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের একক দাবিদারগণ অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উদযাপন রেখে কক্সবাজারে অবকাশ এ কেন জাতি জানতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের উত্তরণে নতুন কোনো চক্রান্তের জাল কেউ বুনতে চাইলে সেবা তারা যেই হউক না কেন জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত বিজয় মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
হালুয়াঘাট পৌর শহরের উত্তর বাজারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এই সমাবেশে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা ও গাজীপুরে নিহত হালুয়াঘাটের শহীদ বিজয় ফরাজী, শহীদ সেলিম শেখ, শহীদ মুনিরের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। শহীদ পরিবারের হাতে তুলে দেন শহীদ স্মারক।
বিজয় মিছিল-পূর্ব সমাবেশে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘আল্লাহ না করুন, সে রকম পরিস্থিতি যদি সত্যি সৃষ্টি হয়, তাহলে তার জন্য সরকার ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে বিভেদ ও বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী কিংস পার্টি ও তাদের সহযোগী দুইটি দল দায়ী থাকবে। গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টিকারীরা দেশ ও জনগণের বন্ধু হতে পরে না।’
গণ ঐক্য অটুট রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের নিকৃষ্ট ফ্যসিবাদী হাসিনার পতন ও পলায়নের মধ্য দিয়ে হাজারও শহীদের জীবনের বিনিময়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছিল তা গণঅভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে অনৈক্যে ও সমন্বয়হীনতার কারণে যেন ম্লান না হয়। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে শুরু করেছে। নির্বাচন, নির্বাচিত সংসদ ও সরকার ছাড়া দেশকে যেমন স্থিতিশীল রাখা যাবে না, তেমনি ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক রাস্ট্র বিনির্মাণসহ সংস্কার, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙক্ষা বাস্তবায়ন, ফ্যাসিস্টদের বিচার সম্ভব না।’
হালুয়াঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবিরের সঞ্চালনায় বিজয় মিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :