গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডে গোটা গাজীপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার রবিউল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিন ও গাজীপুর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপরদিকে, গাজীপুর সদর উপজেলার শিববাড়ী এলাকা থেকে স্বাধীন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১ এর সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রত্যেকেই সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও জানা গেছে।
তবে হত্যার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ, পরিকল্পনা ও কারা এই ঘটনায় মূল হোতা সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে রোববার সংবাদ সম্মেলন করবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব।
র্যাব-১ (পোড়াবাড়ি ক্যাম্প) এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে. এম. এ. মামুন খান চিশতী বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিক টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা অন্যান্য দিকগুলোও তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে স্থানীয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। ঘটনার সময় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং হত্যাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং দ্রুত বিচার দাবিতে সাংবাদিক সমাজসহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।
পুলিশ ও র্যাবের যৌথ তৎপরতায় অল্প সময়ের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার ও সহকর্মীরা। তবে তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :