গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ নিয়ে এই মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুজনের মধ্যে একজন শাহজালাল (২৫)। তিনি কুমিল্লার হোমনা থানার অনন্তপুর এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে তাকে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন চর মসলন্দ মোড়লপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহজালাল সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত অন্যতম আসামি মো. ফয়সাল হাসানকে (২৩) নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার মাহবুব স্কুল মোড়ে রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফয়সাল হাসান পাবনা জেলার পাঁচবাড়িয়া এলাকার কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। যারা সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে স্থানীয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। ঘটনার সময় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং হত্যাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং দ্রুত বিচার দাবিতে সাংবাদিক সমাজসহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।
পুলিশ ও র্যাবের যৌথ তৎপরতায় অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার ও সহকর্মীরা। তবে তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :