ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানী ঢাকার লাগোয়া গাজীপুরের ঝুট ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের আগে যা ছিল আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের হাতে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন মেরুকরণে বর্তমানে গাজীপুর মহানগরীতে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ও অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠেছে ওই অঞ্চলের পরিবেশ। বাড়ছে নৃশংস হত্যাকাণ্ডও।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, গত তিন মাসে ১৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে গাজীপুর মহানগরে।
সম্প্রতি একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য মতে- গার্মেন্টস কারখানা, জুট ব্যবসা, অটোরিকশা, পরিবহন সেক্টর, মামলার সুপারিশ বাণিজ্য, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন স্থবিরতার পেছনে স্থানীয় বিএনপির বেশ কিছু নেতাদের হাত রয়েছে। এ ছাড়া অত্র এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মেও পেছনে রয়েছে বিএনপিপন্থি নামধারী একটি গ্যাং। এই গ্যাংয়ের নাম সিক্স (৬) ব্রাদার। যার নেতৃত্বে রয়েছেন টয়লেট নুরু। নুরু একাধিক চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত। গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় তার বসবাস বলে জানা গেছে।
পুলিশি তথ্য মতে, গাজীপুরে সম্প্রতি চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, আধিপত্যসহ বেশ কিছু কারণে চাঞ্চল্যকর কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ মাসে ১৪টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের দাবি যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এর মধ্যে অধিকাংশ ঘটনা চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও দখল বাণিজ্যের কারণে। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও পুলিশ বর্তমানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র মতে, স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন অপকর্মের বিরোধিতা করে মাঠ গরম করে বক্তৃতা দিলেও গোপনে বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ও অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। পাশাপাশি নিজেদের স্বার্থে সুযোগ বুঝে তাদের ব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করছেন। এসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রকাশ্যে কথা বলেন বা আওয়াজ তোলেন, তাহলে তাকে সন্ত্রাসীদের হামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়।
গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয়দের তথ্য মতে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গাজীপুর মহানগর, থানা ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায়, চুরি, ডাকাতি, চাঁদা নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন অপকর্মে জড়াচ্ছেন। এর মধ্যে যাদের নাম শীর্ষ আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন গাজীপুর মহানগর বাসন থানার সভাপতি আলহাজ্ব তানভীর সিরাজ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত সাবেক নেতা হালিম মোল্লা। হালিম মোল্লা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় বর্তমানে তিনি পলাতক বলে থানা পুলিশের সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মূলত বিএনপির এই দুই নেতার শেল্টারে গাজীপুর মহানগর জুড়ে চলছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মের পেছনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এরাই জড়িত। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে এসব অপকর্মে জড়িত রয়েছে গাজীপুর কোনাবাড়ি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন। বেশ কিছুদিন আগে বাবুল হোসেনের ছেলে ওয়াসিফ সালিম কোনাবাড়ী থানা এলাকার জরুন গ্রামের নাসির উদ্দিন পালোয়ান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার আসামি হন। পরবর্তী সময়ে মামলার বাদীদের হুমকি ও পুলিশকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তা মিটমাট করা হয় বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
যদিও অভিযোগের বিষয়ে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ জানিয়েছে তথ্য-প্রমাণ না থাকায় ওয়াসিফ সালিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কোনাবাড়ি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ তার নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগরীতে চাঁদাবাজি ও আধিপত্যে জড়িত রয়েছে বিএনপি সমর্থিত সিক্স ব্রাদার গ্যাং। এই সিক্স ব্রাদার গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন টয়লেট নুরু তারা। বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের জন্য কাজ করে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদের নেতৃত্বের মূলে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা তানভীর হোসেন সিরাজ। সিক্স ব্রাদার গ্যাংয়ের সদস্যদের সঠিক পরিচয় পাওয়া না গেলেও তারা এলাকায় বেশ আলোচিত। তাদের ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খোলেন না।
গাজীপুর মহানগর, কোনাবাড়ি ও বাসন থানা এলাকায় বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বিএনপির বেশ কিছু শীর্ষ নেতার চাঁদাবাজি, আধিপত্য ও গার্মেন্টস দখলসহ বেশ কিছু অনিয়মের কারণে গাজীপুর ক্রাইম জোন হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখানে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরাই নয়, পুলিশের কিছু অসাধু ব্যক্তিও এর সঙ্গে জড়িত।
অভিযোগ রয়েছে, চাঁদাবাজির টাকা শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের পকেটে যায় না। বিভিন্ন সিস্টেম পুলিশের পকেটেও যায়। যে কারণে গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর মহানগর মসজিদ মার্কেটের সামনের এক দোকানদার জানান, ৫ তারিখের পর সব কিছু বিএনপি নেতা তানভীর হোসেন সিরাজ ও হালিম মোল্লার লোকজন দখল করে নিয়েছেন। তারা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যায় না। তারা পুলিশকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন সময় মামলা বাণিজ্য ও করেন। এ ছাড়া রাস্তায় একটা দোকানের জন্য চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেন এবং প্রতিদিনের খরচ বাবদ আলাদা করে টাকা দিতে হয়। যারা নিয়মিত টাকা দিতে পারেন না তাদের দোকান সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয়।
গাজীপুর মহানগরের ফুটপাতের দোকান ও সড়ক থেকে নিয়মিত টাকা তোলেন রতন। তিনি জানান, এসব টাকা তো আমি একা তুলে নিজের পকেটে নিচ্ছি না। বরং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ভাগ-বণ্টন করে দিচ্ছি। পুলিশও একটা অংশ পায়। বিনিময়ে আমিও কিছু পেয়ে থাকি।
স্থানীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের (আজমেরী বাসের ড্রাইভার) তানভীর হোসেন বলেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী দেশ কিছু নেতাকর্মীর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে চাঁদাবাজির টাকা তাদের পকেটে যায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা এসব টাকার ভাগ পান। তারা পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব চাঁদাবাজি করছে। বেশ কিছুদিন আগে এক সিএনজিচালককে পেটানো হয় চাঁদা না দেওয়ার অপরাধে আর বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক সাংবাদিককে শুনেছিলাম চাঁদাবাজির কারণে হত্যা করা হয়। পরে শুনি অন্য ঝামেলা আসলেই কী সেটা সঠিক জানি না।
গাজীপুর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় একাধিক বাস ড্রাইভারের সঙ্গে। তারা জানান, বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশ যদি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এসব অপরাধ কমে যাবে। দিন দিন গাজীপুর চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই ও অপরাধীদের দখলে চলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার যদি জোরাল পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে অসংখ্য মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপি অথবা জেলা বিএনপির কেউ যদি চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার বা দখলদারিতে যুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন। আমরা তো এখন সরকারে নেই। পুলিশ তাদের কেন গ্রেপ্তার করে না। পুলিশের উচিত দলের পরিচয়ে যারা অপরাধ করবে, তাদের ধরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া। তাহলেই তো এসব অপরাধ কমে আসবে। আমরা যদি সরকার হতাম, সেই ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যেতে পারতাম। তবুও কারো বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ উঠলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিই। এসব চাঁদাবাজ, দখলদার ও অপকর্মে যারা যুক্ত, তারা কোনো দলের না। এরা সংগঠন করে নিজেদের স্বার্থের জন্য।
স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হালিম সে তো বহিষ্কৃত। সে যদি অপরাধ করে, কেন পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেটা আমারও প্রশ্ন। আমরা তো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ পেলেই বিএনপির দুর্দিনের হোক আর সুদিনের হোক আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। দেশে এবং সংগঠনের শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে আমরা দলীয় ব্যক্তিদের সব অপরাধের বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছি।
এ ছাড়া গাজীপুর মহানগর বাসন থানার সভাপতি তানভীর সিরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সে যে পদের নেতাই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। পুলিশ কেন কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। আমাদের কাছে কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলেই তো অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর (মেট্রো) কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ্উদ্দিন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, শুধু বিএনপি নেতারা নয়, যেকোনো চাঁদাবাজ বা অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ সব সময় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। যদি কোনো ব্যক্তির নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, সেই ক্ষেত্রে আমরা তার ব্যক্তিগত অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। সে বিএনপি নেতা হোক, আর যে-ই হোক না কেন। আইন সবার জন্য সমান, কোনো চাঁদাবাজের জায়গা আমাদের থানা এলাকায় হবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের থানা পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
এর সঙ্গে পুলিশ জড়িত রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আমার থানা এলাকায় বিএনপির যদি কোনো চাঁদাবাজ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, সেই ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে সে যেই পদের নেতা হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সরকারিভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পেয়েছি এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ওসি শাহীন খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা তানভীর সিরাজ অথবা হালিম মোল্লাসহ যাদের নাম আপনি বললেন, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ ও আধিপত্যসহ বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য পেলে অবশ্যই আমাদের কাছে অভিযোগ করুন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। তারা যদি এসব অপকর্মে জড়িত থাকে, তাহলে আপনারা তথ্য দেন আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে আমার এলাকায় কোনো চাঁদাবাজ যদি প্রভাবশালী সংগঠনের নামে মাথাচাড়া দেয়, সে ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক রয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানান, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। যেকোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি, কোনো চাঁদাবাজের সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে পুলিশকে দেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আপনার মতামত লিখুন :