সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনার দুর্গম চর পাঁচবাঙালায় বাক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামিকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে যমুনা চরের নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীর পিতা আলম মোল্লা জানান, ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে আলোমতি খাতুন (১৫) বাড়িতে একা থাকাকালে প্রতিবেশী ছানো বেপারির ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫) ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় মেয়ের চিৎকার শুনে মা এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও আসামির পরিবারের প্রভাবের কারণে কোনো সুরাহা হয়নি। থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে মামলা নেয়া হয়নি।
বিচারের আশ্বাসে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা করেন আলম মোল্লা। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য থানায় পাঠালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান অভিযোগপত্র দেওয়ার কথা বলে তিন কিস্তিতে এক লাখ টাকা ও ১০ কেজি ইলিশ মাছ নেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কিশোরীর পিতা অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে প্রায় দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তদন্ত কর্মকর্তা ধর্ষণ ঘটনাকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে তিনি বিস্মিত হয়ে থানার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত করছে। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হতে পারে।
এ ঘটনায় তিনি দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচারের জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অভিযোগ বিষয়ে এসআই আনিছুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আমি কোনো টাকা নেইনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আপনার মতামত লিখুন :