সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত তুহিনের গলা, ঘাড়, পিঠ, বুক ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোট ৯টি গভীর ও গুরুতর ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এন এম আল মামুন জানান, আঘাতগুলো আকারে ছোট-বড় হলেও প্রত্যেকটি ছিল গভীর এবং প্রায় সমান ধরনের গুরুতর।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত শনিবার (৯ আগস্ট) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
তুহিন ছিলেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি। গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভিডিও ধারণের সময় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে জড়িত আরমান নামের একজন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আশা করছে, শিগগির তাকে গ্রেপ্তার করবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ডক্টর নাজমুল করিম খান জানান, ‘হত্যার ঘটনায় জড়িত আরমান নামের একজন আসামি বাহিরে আছে, আশা করি, খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
এ ছাড়াও আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হবে যাতে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন