শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ১১:৫১ এএম

‘একা মরে গেলে স্ত্রী-সন্তানরা কোথায় থাকবে তাই সবাইকে নিয়ে মরলাম’

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ১১:৫১ এএম

নিহতের স্বজনদের আহাজারি।    ছবি- সংগৃহীত

নিহতের স্বজনদের আহাজারি। ছবি- সংগৃহীত

ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক কৃষক। মৃত্যুর আগে লিখে গেছেন চিরকুট। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর পবা উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায়।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন-মিনারুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনিরা বেগম, ছেলে মাহিম ও দেড় বছর বয়সি মেয়ে মিথিলা। পুলিশ মিনারুলের মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে।
 
পুলিশ জানায়, মিনারুল ও তার ছেলে এক ঘরে ছিলেন, অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। সকালে প্রতিবেশীরা ঘরে এসে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, মিনারুল ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন, ছেলের মরদেহ বিছানায়, আর অন্য ঘরে স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ শোয়ানো রয়েছে।
 
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মিনারুল প্রথমে স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে এবং মেয়েকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে নিজে আত্মহত্যা করেন।

সুইসাইড নোটে মনিরুল মৃত্যুর আগে যা লিখে গেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম এই কারণে যে, আমি একা যদি মরে যাই, তাহলে আমার স্ত্রী-সন্তান কার কাছে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া তারা কিছুই পাবে না। আমি মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়া-দাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারলাম না। আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো হলো। কারো কাছে আর কিছু চাইতে হবে না।’


 
স্থানীয়রা জানান, মিনারুল একসময় জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং মাদকও গ্রহণ করতেন। এতে বিপুল পরিমাণ ঋণ হয়। সম্প্রতি বাবার জমি বিক্রি করে কিছু ঋণ শোধ করলেও আর্থিক সংকট কাটেনি। অনেক সময় পরিবারের দুবেলা খাবারও জুটত না।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!