তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সাইপ্রাসগামী একটি বিমানে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রকাশ্যে সিগারেট ধরিয়ে টান দেন এক যুবতী। শুধু তাই নয়, তিনি আসনের কভার ও কাপড়ে আগুন লাগানোরও চেষ্টা করেন।
সম্প্রতি ঘটনাটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নীল বোরকা ও সানগ্লাস পরা এক নারী বিমানের জানালার ধারে বসে সিগারেট ধরিয়ে টান দিচ্ছেন। ধোঁয়ার গন্ধ টের পেয়ে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এ সময় সামনের আসনে বসা এক যাত্রী আসনের কভার সরিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে কেবিন ক্রুরা দ্রুত ওই নারীর হাত থেকে সিগারেট কেড়ে নেন।
কিন্তু পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ওই নারী পকেট থেকে লাইটার বের করে আসনের কভার ও একটি কাপড়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। কেবিন ক্রুরা বাধা দিলে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত এক ক্রু বোতলের পানি ঢেলে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
ঘটনার ভিডিওটি গত ১১ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত ২৫ লাখেরও বেশি ভিউ হয়েছে। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের এমন ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ ঘটনাটিকে নতুন ভেবে তীব্র সমালোচনা করলেও পরে জানা যায় এটি কয়েক বছর আগের।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালে, ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে ট্যাক্সিংয়ের সময়। ওই নারী নিজেকে তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফেতুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন (FETO)-এর সদস্য দাবি করে বলেন, ‘আমি এই বিমান উড়িয়ে দেব।’ পরে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে আটক করে।
উল্লেখ্য, তুর্কি সরকারের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে জড়িত ছিল এই সংগঠন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন