রাজশাহীর মোহনপুরে ১১টি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন আকবর আলী শাহ (৫৫) নামের এক পানচাষি কৃষক। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে তার বাড়ির পাশের পান বরজ থেকে ওই কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকবর আলী মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা। তার বাড়ি থেকে ১১টি এনজিওর পাস বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের বড় ছেলে সুমন হোসেন শাহ জানান, ‘প্রতিদিনের মতো তার বাবা ভোরে পান বরজ দেখতে যান। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ছয়জন শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে পান বরজে গিয়ে বাবাকে খুঁজে পাননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশের আরেকটি পান বরজে তার বাবার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে শ্রমিকদের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’
আকবর আলী ও তার স্ত্রী যে এনজিওগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেগুলো হলো: প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, গ্রামীণ প্রচেষ্টা, ব্র্যাক, রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক), প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি, শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে), সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস (সিদীপ), আশা, গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক), ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি), ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এবং ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক)।
মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আকবর আলী ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। পানের দাম কমে যাওয়ায় ঋণের কিস্তি দিতে পারছিলেন না আকবর আলী। এ নিয়ে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন