লক্ষ্মীপুর পৌরসভা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, পৌরসভার মাসিক ব্যয় মেটানোর পরও প্রায় ৬৫ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। তারপরও পৌরসভার নামে রয়েছে প্রায় ২৬ কোটি টাকার ঋণ। এর মধ্যে সাড়ে ৪ কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এবং প্রায় ৬ কোটি টাকা পৌরসভার কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর আধুনিক বিপণিবিতানে পৌরসভা কার্যালয় স্থানান্তর উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পৌরসভায় নিয়ম-শৃঙ্খলার অভাব ছিল। যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই অনিয়ম চোখে পড়ছে। অতীত ইতিহাস অত্যন্ত দুর্বল। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারপরও সীমাবদ্ধতার মধ্যেই পৌরবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সীমাবদ্ধতা থাকায় ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু করা যাচ্ছে না। তবে পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ, পৌরসভার যেকোনো সমস্যা আগে আমাকে জানান। আমি ব্যবস্থা না নিলে কিংবা আমার জবাবে সন্তুষ্ট না হলে তখন প্রয়োজনীয় সমালোচনা বা প্রদক্ষেপ নিতে পারেন।’
পৌরসভার চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি রাস্তার সংস্কার যথাযথ হয়নি—এই অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলোর তালিকা করা হয়েছে। অনিয়ম রোধে কিছু ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও তাদের পুনরায় সংস্কার করতে বাধ্য করা হয়েছে। যারা নির্দেশ না মেনেছে, তাদের বিল স্থগিত রাখা হয়েছে।’
এ ছাড়া বিভিন্ন সেবাখাত সম্পর্কেও অভিযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘সেসব অভিযোগের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন: চৌমুহনী এসএ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জেড. এম. ফারুকী, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া তফন, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী, বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী, পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আ.হ.ম. মোস্তাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাভেল ও ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন