শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম

উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে জিম্মি ভূমি কর্মকর্তা, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায়

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে যাওয়া জায়গাটি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে যাওয়া জায়গাটি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে দখলদারদের হামলার শিকার হয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। অভিযুক্তরা তাকে মারধরের পর জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পিরাপাট বিএনপি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ তিন ঘণ্টা পর অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

সূত্রে জানা যায়, জয়শিং থেকে বগুড়া সড়কের পিরাপাট বিএনপি বাজার এলাকায় ২০০৪ সালে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সুকলু মিয়া ও তার ভাইদের মালিকানাধীন সাড়ে ছয় শতক জমি অধিগ্রহণ করে। ওই জমির মূল্য বাবদ ২০,৬১৬ টাকা ৭৫ পয়সাও তারা উত্তোলন করেন।

অভিযোগ রয়েছে, সড়ক নির্মাণের পরও সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীরা—শাহাদুল হোসেন মন্ডল, গোদা মন্ডল, আব্দুল কাফী, সফিকুল ইসলাম, ইংরেজ উদ্দিন ও কালু মিয়া—সরকারি ওই জমি অবৈধভাবে দখল করে ঘর নির্মাণ করেন। এতে স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টির সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সুকলু মিয়ারা সেই নির্দেশ অমান্য করে আরও স্থাপনা নির্মাণ করেন।

পরে ইউএনওর নির্দেশে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীরা ৪০-৫০ জন মিলে তাকে ঘিরে ধরে মারধর করেন এবং জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। পরে তারা ওই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

খবর পেয়ে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকালে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া সাদা স্ট্যাম্পও জব্দ করা হয়।

ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইউএনও স্যারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়েছিলাম। সন্ত্রাসীরা আমাকে অবরুদ্ধ করে মারধর করেছেন এবং জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন।’

এর আগে গত জুলাই মাসে একই সন্ত্রাসী চক্র ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সরকারি জমি দখল করে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে এবং দোকানঘরে ভাঙচুর চালিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার রড, সিমেন্টসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নেয়। 

প্রতিবাদ করলে শহিদুলের পরিবারকে ঘরের ভিতর জিম্মি করে রাখে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দিলে ধুনট থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও গুরুতর অপরাধ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ‘ভূমি কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং স্ট্যাম্পও জব্দ করা হয়েছে। তিনি মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Link copied!