শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম

মসজিদের খতিব নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪, পুলিশের ফাঁকা গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম

ময়মনসিংহ জেলার মাচিত্র। ছবি- সংগৃহীত

ময়মনসিংহ জেলার মাচিত্র। ছবি- সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মসজিদের খতিব নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর নান্দাইল পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন: মসজিদের জমিদাতা আব্দুল হালিম, মুসুল্লি আবু তালেব, মো. মোফাজ্জল, সারজিদ মিয়া এবং আবুল হাছান। তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল পৌর ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আবুল খায়ের দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে বালিয়াপাড়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে বয়সজনিত কারণে তিনি জুমার নামাজের সময় মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে খতিবের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন।

পরবর্তীতে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. রোস্তম আলী নতুন খতিব হিসেবে মাওলানা আনোয়ারুল হোসেনকে নিয়োগ দেন। কিন্তু একটি পক্ষ মাওলানা আবুল খায়েরকে পুনরায় খতিব হিসেবে বহাল রাখার দাবি জানায়, যার ফলে এলাকায় দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

এ নিয়ে সভাপতি রোস্তম আলী নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অপর পক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বরাবর অভিযোগ করলে তিনি ৪ সেপ্টেম্বর মাওলানা আবুল খায়েরকে পুনরায় খতিব হিসেবে নিয়োগ দেন এবং পূর্বের মসজিদ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে  আব্দুল হালিম, মুসল্লি আবু তালেব, মো. মোফাজ্জল, সারজিদ মিয়া এবং আবুল হাছান আহত হন। তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নান্দাইল মডেল থানার ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনার আশঙ্কায় আগে থেকেই মসজিদের পাশে পুলিশ মোতায়েন ছিল। নামাজ শেষে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

Link copied!