রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম

মাওলানা ভাসানী সেতুর তার চুরি, গ্রেপ্তার ২

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম

মাওলানা ভাসানী সেতুর চুরি যাওয়া তার পুনরায় স্থাপনের কাজ চলছে। ছবি- সংগৃহীত

মাওলানা ভাসানী সেতুর চুরি যাওয়া তার পুনরায় স্থাপনের কাজ চলছে। ছবি- সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হরিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতুর সংযোগ তার ও বৈদ্যুতিক বাতি চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- খায়রুল ইসলাম ও মুনছুর আলী। তাদের বাড়ি যথাক্রমে রংপুরের পীরগঞ্জ ও সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেলিম রেজা শুক্রবার রাতে ধাপেরহাটের ছাইগাড়ি গ্রামের ইসলামপুর গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে খায়রুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জগনাথপুর গ্রামের খিজির উদ্দিনের ছেলে মুনছুর আলীকে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে খায়রুল ইসলাম মাওলানা ভাসানী সেতুর সংযোগ তারসহ অন্য সরঞ্জাম চুরির কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।

সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক সেলিম রেজা জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা কৃষিকাজের আড়ালে তারা দীর্ঘদিন ধরে চুরি-ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত এবং তারা একটি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তবে তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সংযোগ তারসহ অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানান, চুরির সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গত ২০ আগস্ট দুপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মাওলানা ভাসানী সেতুটি উদ্বোধন করেন। এর দুই দিন পর ২২ আগস্ট রাতে সেতুর সিকিউরিটি ইনচার্জ নুরে আলম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক তার চুরির কথা উল্লেখ করা হয়।

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানায়, দক্ষিণ পাশের সংযোগ সড়কের দুই পাশে থাকা ৮টি লাইটপোস্টের প্রায় ৩১০ মিটার তার দুর্বৃত্তরা মাটি খুঁড়ে কেটে নিয়ে যায়। এর ফলে, ১৩ জুন পরীক্ষামূলকভাবে লাইট জ্বালানো হলেও পরে আর জ্বলানো সম্ভব হয়নি। এমনকি উদ্বোধনের রাতেও আলো জ্বালাতে ব্যর্থ হয়। পরদিন সকালে চায়না প্রকল্পের কর্মীরা ঘটনাটি শনাক্ত করেন। উদ্বোধনের আগেই এই চুরির ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তারা। সে কারণে উদ্বোধনের দিন থেকে মাওলানা ভাসানী সেতু ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!