ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের অন্তর্গত চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত চূড়ান্ত গেজেটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চান্দুরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ শুরু হয়। ধীরে ধীরে এতে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। ফলে মহাসড়কের দুপাশে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরে যানজট প্রায় ২০ কিলোমিটারে গড়ায়। এতে হাজারো যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
ঢাকা থেকে সিলেটগামী যাত্রী মিম আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আন্দোলন যে কারও অধিকার, কিন্তু সেটা সড়ক অবরোধ না করে ভিন্নভাবে করা উচিত।
এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. খায়রুল সরকার অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। বিজয়নগরকে টুকরো করে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। বিজয়নগরকে অখণ্ড রাখতে আন্দোলন ও আইনি লড়াই চলবে। প্রয়োজনে মহাসড়ক বন্ধ রেখে দাবি আদায় করা হবে।
বিজয়নগরের বিএনপি নেতা মো. রাষ্টু সরকারও একই সুরে বলেন, সদর আসনে থাকার দাবিই জনগণের। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এখানে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এখন আবার দুটি ইউনিয়ন আলাদা করে সরাইল আসনের সঙ্গে যুক্ত করায় মানুষ ক্ষুব্ধ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আন্দোলনের কারণে যান চলাচল পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে পুলিশ কাজ করছে। তবে আন্দোলনকারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন।
-20250905153155.webp)
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন