বজ্রপাতে দেশের পাঁচ জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন কৃষক ও দুজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রোববার এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা
রোববার বিকেলে হোমনার ভবানীপুর খেয়াঘাটে বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন উপজেলার নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজী মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৫) ও জাকিয়া (২৫) এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাহিনুর ইসলামের ছেলে রাশেদ মিয়া (২২)।
হোমনা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঝিনাইদহ
মাঠে কাজ করার সময় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শমসের বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস (২৮) ও শৈলকূপার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫)।
শৈলকূপা ও সদর থানার ওসি মাসুম খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন দুজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ
বিকেলে আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে ওয়াসিম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ওয়াসিম উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুদ্দিন বলেন, মাঠ থেকে গরু আনতে গিজে বজ্রপাতে ওয়াসিমের মৃত্যু হয়।
গাইবান্ধা
দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটায় বজ্রপাতে আব্দুল আজিজ (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
বিকেলে নাগেশ্বরীতে পৃথক বজ্রপাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলো উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ বাবলু মিয়া (৭)। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। এ ছাড়া উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সহিবের মৃত্যু হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন