মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণাকারপট্টিতে আলোচিত স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে জানা গেছে, ‘অভি অলংকার’ জুয়েলারি দোকানের মালিক শুভ দাস নিজেই পরিকল্পনা করে এই স্বর্ণ লুটের নাটক সাজিয়েছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন—সোহান, আমানত ও শরীফ। রোববার (০৫ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে পৌলী এলাকার শাইলীপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দোকান মালিক শুভ দাস পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই তিনজনকে ভাড়া করে লুটের পরিকল্পনা করেন। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, শুভ দাস মোবাইলে মেসেজ পাঠানোর পরই ভাড়াটে ছিনতাইকারীরা দোকানে প্রবেশ করে ‘লুটপাটের’ ঘটনা ঘটায়।
এর আগে শনিবার (০৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টার দিকে শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার স্বর্ণাকারপট্টিতে অবস্থিত ‘অভি অলংকার’ জুয়েলারি দোকানে দুজন মুখোশধারী ব্যক্তি ঢুকে মালিক শুভ দাসের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে লকার ভেঙে ২০ থেকে ২২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এ সময় বাধা দিতে গেলে শুভ দাসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ’প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে, ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। দোকান মালিক নিজেই এর মূল নায়ক। তবে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের একাধিক টিম এখন তদন্তে নেমেছে এবং আরও কয়েকজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে স্থানীয় স্বর্ণকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই স্বর্ণাকারপট্টি এলাকায় রাতের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হলেও তা কার্যকর হয়নি। এঘটনায় পুরো ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন