ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫

অবৈধ বালু উত্তোলন : ঝুঁকিতে ফসলি জমি, মসজিদ-বসতবাড়ি

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
অবৈধ বালু উত্তোলন : ঝুঁকিতে ফসলি জমি, মসজিদ-বসতবাড়ি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নের চতুর্থ খণ্ড নারাইনপুর (মাঝর টুল) এলাকায় কিনাই ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও একটি মসজিদ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর নারাইনপুর (মাঝর টুল) গ্রামের সমর আলীর ছেলে মো. ইসলাম উদ্দিন এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, স্থানীয় কেফাত উল্লাহ, লোকমান আহমদ ও কামাল আহমদ নামের তিন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কিনাই ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করে তার জমি, আশপাশের জনসাধারণের বাড়িঘর এবং নারাইনপুর পূর্ব টুল বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন। বিষয়টি নিষেধ করায় অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি-ধমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কিনাই ছড়ার বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলন করে ছড়ার পাড় ও ফসলি জমিতে বালু মজুত রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশ জানান, গত ৫ অক্টোবর স্থানীয় তিন মৌজার পক্ষ থেকে কিনাই ছড়া ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে এবং ওই অর্থ মসজিদ ও কবরস্থানের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হয়।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ইসলাম উদ্দিন তার আপন ভাই-ভাতিজাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধে লিপ্ত রয়েছেন। অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা নিরপরাধ, বরং তারা ২ বিঘা জমির দলিল পাবেন। তিনি জানান, কিনাই ছড়া প্রতিবছর লিজ দিয়ে আমরা মসজিদ ও কবরস্থানের উন্নয়ন কাজ করে থাকি।

অভিযোগের ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, ইসলাম উদ্দিন নামে একজনের অভিযোগ পেয়েছি, তবে ব্যস্ততার কারণে এখনো ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। কিনাই ছড়া লিজ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন করেন, তারা লিজ দেওয়ার কে?