ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে রিকশাচালক খোকন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি বদর উদ্দিন আল সানিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জনান র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক নয়মুল হাসান। এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সানি জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নজরুল ইসলাম মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও রিকশাচালক খোকন মিয়া (৪০) হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। সানি নৌবাহিনীতে বেসরকারি পদে কর্মরত ছিলেন।
র্যাব-১৪ জানায়, করমা গ্রামের কছিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুই ভাই ছিলেন। ৬-৭ বছর আগে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর জমি নিয়ে কছিম উদ্দিনের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের ছেলেদের বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় থানায় তিনটি মামলাও হয়। স্থানীয়ভাবে দুই পরিবারের বিরোধ মেটাতে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলে তা মানেননি কেউ।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশা রেখে ঘর থেকে বের হন খোকন মিয়া। এ সময় গিয়াস উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও তার ভাই এবং পরিবারের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেন।
এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছেলে বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে বদর উদ্দিন সানিকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। হত্যার পর কর্মস্থলে চলে যাওয়া বদর উদ্দিনকে সোমবার রাতে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নজরুল ইসলামকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নিহত খোকন মিয়া উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামের মৃত কছুম উদ্দিনের ছেলে। খোকন মিয়া পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন