গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়েছেন পিরোজপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন যুবদল নেতা। যার মধ্যে অন্যমত পিরোজপুর জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ শিকদার (৩৭)। তবে বহিষ্কার হওয়ার পরও অপকর্ম থেকে বিরত ছিল না রিয়াজ। ফলে ৯ মাসে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় তিন বার গ্রেপ্তার হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবারো গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে বহিষ্কৃত এই যুবদল নেতা।
এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পরে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার টগড়া মোড়ে একটি সালিশি বৈঠকে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় রিয়াজ। এরপর গত ১৮ মে একটি চাঁদাবাজি মামলায় পুণরায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
এছাড়াও গত ২৩ এপ্রিল ভোরে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর টোল প্লাজা থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের চিংড়ি মাছের পোনা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে রিয়াজের বিরুদ্ধে। পরে সেই ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।
ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়াজের বিরুদ্ধে থানায় অনেকগুলো মামলা রয়েছে। পাশাপাশি নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে রিয়াজের বিরুদ্ধে।
রিয়াজের দলীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কার হওয়ার পর রিয়াজ সরাসরি কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারছে না। তবে বিভিন্ন সময় জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ার চেষ্টা করেছে সে, যা এখনো অব্যাহত আছে। কিন্তু তার অপকর্মের দায় কেউ নিতে চায়নি।
অন্যদিকে, অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কারনেই বার বার গ্রেপ্তার হচ্ছে রিয়াজ এমটাই মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সে সেব অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র তিন দিনের মধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছিল রিয়াজ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন