লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মামি জুলেখা বেগম ও মামাতো বোন তানহা আক্তার মীমকে জবাই করে হত্যা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত পারভেজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭ ভরির বেশি স্বর্ণালঙ্কার।
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন জানান, পারভেজ হোসেন শুক্রবার বিকেলে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি শুক্রবার সন্ধ্যার আগে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপারের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পারভেজ হোসেন দুই মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। তার প্রচণ্ড টাকার অভাব এবং ব্যাংক ও এনজিও থেকে টাকা উত্তোলনে অক্ষমতার কারণে তিনি মামার বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন রামগঞ্জ থেকে একটি চাকু কিনে তিনি বিকেলে মামার বাড়ি উত্তর চন্ডিপুরে যান।
পুলিশ জানায়, পারভেজ প্রথমে মামাতো বোন মীমকে আক্রমণ করেন। মীম চিৎকার করলে তাকে একাধিক কোপ দিয়ে হত্যা করেন। এরপর তিনি মীমের মা জুলেখাকে দ্বিতীয় তলায় ডেকে নিয়ে একইভাবে কুপিয়ে ও গলায় চাকু দিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর বাসার আলমারি থেকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পারভেজ একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যার পর রামগঞ্জের উত্তর চন্ডিপুর গ্রামে জুলেখা ও মীমকে হত্যা করা হয়। রাতে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরের দিন জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত জুলেখা বেগমের স্বামী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন