ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ধানের শীষে উন্নয়ন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্য চান কাদের গনি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
লিফলেট বিতরণ করছেন কাদের গনি চৌধুরী। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ধানের শীষ উন্নয়নের প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র সুসংহত করতে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। তিনি বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা চাননি, তাদের হাতে দেশ কখনোই নিরাপদ নয়।’

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেয়াকো বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ শেষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন, ওসমান তাহের সম্রাট, ইয়াকুব সিফাত, কামাল চৌধুরী, ইলিয়াস মেম্বার, রিফাত চৌধুরী, মাসুদ আজহার, হাসান হাফিজ, সোহেল সিকদার, সেলিম খান, আব্দুল আল মামুন, মোহাম্মদ রানা, সুমন খান, জীবন মুসা, কামাল উদ্দিন, নুরুল আফছার, আবু সাঈদ রুবেল, সাইমুনুল করিম, আব্দুল মান্নান, খোরশেদুল আলম, মুনাফ চৌধুরী, ইসমাইল রাজ, আব্দুর রাজ্জাক, ইলিয়াস বাচা, ওমর ফারুক, সোহেল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বারবার গণতন্ত্র সংকটে পড়েছে। স্বৈরশাসন, ফ্যাসিবাদী শাসন, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জনগণের প্রত্যাশা ব্যাহত হয়েছে। বিএনপির প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচি এসব সংকটের বাস্তবসম্মত সমাধান ও টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার রূপরেখা দিয়েছে। আজ দেশের জনগণ ‘মানবিক বাংলাদেশ’-এর দাবি তুলেছে। তারেক রহমানের ৩১ দফা মানবিক বাংলাদেশের ম্যাগনা কার্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের সময়োপযোগী একটি নীতিমালা। এতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, জনগণের অংশগ্রহণ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি সব মত ও পথের মানুষের সমন্বয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতিতে অটল। জনগণের ঐক্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির জন্ম সংস্কারের মধ্য দিয়ে। সংস্কারের মাধ্যমেই প্রেসিডেন্ট জিয়া একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনিই। বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থা থেকে সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় দেশকে নিয়ে এসেছিলেন। মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা খরচে লেখাপড়ার ব্যবস্থা, নারীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি ও মহিলা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা—এসবই বিএনপি ও খালেদা জিয়ার অবদান।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবুও কিছু লোক বিএনপিকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশে যা-কিছু ভালো হয়েছে, তার মূলেই রয়েছে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অবদান।’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, নানামুখী চক্রান্তের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। নির্বাসিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। যখন পুরো জাতি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন ও গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় উন্মুখ, তখনই এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।’