শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

তীর্থোৎসবের আলোয় ভাসল গারো পাহাড়

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

হাতে মোমবাতি, ঠোঁটে প্রার্থনার সুর- এভাবেই দুই কিলোমিটারেরও বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেন হাজারো ভক্ত। গন্তব্য ছিল মা মারিয়ার আশীর্বাদপ্রাপ্ত স্থান- শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারি সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্ম পল্লি।

দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) শেষ হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ খ্রিষ্টান ধর্মীয় এই উৎসব। শুধু ক্যাথলিক খ্রিষ্টানই নয়, বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরাও প্রতি বছর অংশ নেন এই আয়োজনের আনন্দে।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবারে আয়োজন করা হয় এই তীর্থযাত্রা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় পবিত্র খ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তীর্থোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। রাত আটটায় ছিল আলোক শোভাযাত্রা, রাত ১১টায় মা মারিয়ার মূর্তিকে সামনে রেখে বিশাল প্যান্ডেলে হয় আরাধনা, আর রাত ১২টায় নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশিজাগরণের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম দিনের ধর্মীয় কার্যক্রম।

আজ সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ এবং মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ বছরের উৎসব। এবারের উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস. র‌্যান্ডেল।

১৯৪২ সালে ৪২ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বারোমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লি। ১৯৯৮ সালে প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ. গমেজ এ স্থানটিকে ‘ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই প্রতিবছর এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই তীর্থোৎসব।

এ বছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার দেশি–বিদেশি রোমান ক্যাথলিক ভক্ত অংশ নিয়েছেন এই উৎসবে।

খাগড়াছড়ি থেকে আগত ভক্ত জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এখানে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে।’

মুক্তাগাছা থেকে আসা দর্শনার্থী কারিশমা চাম্বুগং বলেন, ‘মারিয়ার কাছে এলে মনে এক ধরনের শান্তি পাই। আমরা এখানে প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ–কষ্ট দূর হয়। প্রতি বছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।’

Link copied!