আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটের রাজনীতিতে সজীবতা এসেছে। ঐতিহ্যবাহী এই জেলার ৬টি আসনের মধ্যে চারটিতে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকায় বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলের প্রাথমিক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঘোষণায় সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তার পিতা খন্দকার আব্দুল মালিক এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সিলেট-১ আসনকে ঐতিহ্যগতভাবে ‘ভাগ্য নির্ধারক’ আসন হিসেবে দেখা হয়, কারণ এ আসনে বিজয়ী দলই প্রায়শই সরকার গঠন করে।
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ–ওসমানীনগর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদির লুনা। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তিনি রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। সম্প্রতি এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, তবে তাকে যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব দেওয়ার পর লুনার প্রার্থিতা প্রায় নিশ্চিত হয়।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা–ফেঞ্চুগঞ্জ–বালাগঞ্জ) আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। এ আসনে তার সঙ্গে মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার এম এ সালাম ও জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ–বিয়ানীবাজার) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। ছাত্রদল দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়, পরে তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ফয়সল আহমদ চৌধুরী, যিনি এবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
এদিকে সিলেট জেলার ৬টি আসনের মধ্যে বাকি দুই আসন—সিলেট-৪ ও সিলেট-৫-এ এখনো মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি। দলের নীতিনির্ধারকদের মতে, এসব আসনে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আরও যাচাই-বাছাই শেষে শিগগিরই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সিলেট বিভাগের মোট ১৯টি আসনের মধ্যে বিএনপি এখন পর্যন্ত ১৪টি আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। দলের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে পারে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস ও হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
        
                            
                                    
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
                                    
                                    
                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন